রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্তী।আজ বৃহষ্পতিবার (০৪ এপ্রিল) বরিশাল নগরের ফকিরবাড়িস্থ বাসদের কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, ব্যাটারি চালিত রিক্সা শ্রমিকদের ওপর পুলিশি হয়রানি-নির্যাতন বন্ধ, প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে গতবছরের ১৯ এপ্রিল অশ্বিনী কুমার হলের সামনে রিক্সা শ্রমিকদের ভূখা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কর্মসূচী পালন শেষে সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়রের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন।
মেয়রের আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রমিকরা নগরের ফকিরবাড়িস্থ বাসদের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে ফজলুল হক এ্যাভিনিউতে পৌছালে পুলিশ দুদিক থেকে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের বেধরক লাঠিপেটা কেরে এবং পরিকল্পিতভাবে জেলা বাসদের আহবায়ক ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্তী, সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী, ছাত্র ফ্রন্টের নেত্রী নাসরিন আক্তার টুম্পা, শ্রমিক ফ্রন্টের নেতা জাকির হোসেন ও নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে ওইদিন রাতে অভিযান চালিয়ে বরিশাল নগরে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে এবং দুইদফায় আরো ১৯ জন শ্রমিকসহ মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, এদিকে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে গ্রেফতারের পর একটি মিথ্যে নাটক সাজানোর চেষ্টা করে। তারা দাবী করে আমার নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। ধারাবাহিকতায় গ্রেফতার হওয়া আমরা প্রথম ৬ জন আহত হলে কোন চিকিৎসা দেয়া হয়নি বরং সে সময় সিটি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার জন্য হুমকি দেয়া হয়। তিনি বলেণ, এসব বিষয়ে নানানভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোন লাভ না হওয়ায় রাতে পুলিশ মিথ্যে মামলা দায়ের করে। পরের দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরাফাত হাসানের নেতৃত্বে আমাদের শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়।
তিনি বলেন, পুলিশ মিথ্যে মামলা করার প্রায় একবছর পরে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জিআরও এর কাছে দাখিল করেছেন। যেখানে মামলার বাদী এসআই নজরুলের দায়েরকৃত এজাহারটি হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে লাঠি সোটা দিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করা হয়েছে বলা হলেও কোন সদস্যের মেডিকেল রিপোর্টে চিকিৎসক আঘাতের চিহ্ণ পায়নি। মেডিকেল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে ঘটনা প্রমান করতে না পেরে তদন্ত কর্মকর্তা সাধারণ মানুষ ও দোকানদারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে। ডাঃ মনীষা বলেন, আমরা এই মিথ্যে মামলার মিথ্যে তদন্ত প্রতিবেদনকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাক্ষান করছি।
একই সাথে মামলা প্রত্যাহারেরও দাবী জানাচ্ছি।অবিলম্বে মিথ্যে মামলা পত্যাহারের দাবিতে আগামীতে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষনা করছি এবং ১৯ এপ্রিল শ্রমিকদের ভূখা মিছিলে পুলিশের নির্মম হামলা, নির্যাতন, গ্রেফতার এবং মিথ্যে মামলার ঘটনার এই দিনটিকে “শ্রমিক নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস” ঘোষনা করছি। এসময় জেলা বাসদের আহবায়ক ইমরান হাবিব রুমনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply